Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2021

তালিবান কি আদৌ জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম করছে ?

আফগানিস্তানের তালিবান মূলত একটা সামন্ততান্ত্রিক শক্তি । পাশতুন অধ্যুষিত এলাকার বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠী ও সামন্তপ্রভুরা হল এদের শ্রেণী ভিত্তি । যে উগ্র ইসলামি মৌলবাদী মতাদর্শে এরা বিশ্বাস  করেও সেটাও একটা সামন্ততান্ত্রিক মতাদর্শ ।  সেই তালিবান কী করে একটা দেশে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে পারে ? আজকের পৃথিবীতে বুর্জোয়ারাও এত বেশী প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেছে যে কোনো উপনিবেশ বা আধা-উপনিবেশে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম নয় ।  কোথাও শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম হলে সেই দেশের জাতীয় বুর্জোয়াদের একটা অংশ তাতে অংশগ্রহণ করতে পারে বড়োজোর । ঐতিহাসিক বস্তুবাদ আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে সমাজ বিকাশের ইতিহাসে সামন্ততন্ত্রকে ধ্বংস করে পুঁজিবাদ এসেছে ।  পুঁজিবাদ পরবর্তীকালে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেলেও সামন্ততন্ত্র সব সময়ই পুঁজিবাদের থেকে প্রতিক্রিয়াশীল থাকে ।  সেই কারণেই পুঁজিবাদের থেকে প্রগতিশীল শ্রমিক শ্রেণীর মতাদর্শ মার্কসবাদ দিয়েই তার বিরুদ্ধে লড়তে হয় ।  সামন্ততান্ত্রিক মতাদর্শ দিয়ে হয় না ।  ইতিহাসের চাকা উল্টোদিকে ঘোরে ন...

এই উপমহাদেশে তালিবানের ঠাঁই নেই

তালিবানের সাময়িক জয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলিম নামধারী কিছু মানুষের উল্লাস দেখে অনেকে মনে করছেন যে ভারত,  পাকিস্তান,  বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান হয়ত তালিবানের কট্টরপন্থী  ইসলামে বিশ্বাস করেন ।  তাকে সমর্থন করেন ।  এর থেকে বেশী ভুল ধারণা  আর কিছু হতে পারে না ।  উপমহাদেশের অধিকাংশ  ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষই  উদারবাদী , নরমপন্থী সুফি ইসলামি ভাবধারায় বিশ্বাস করেন ।  তালিবান,  আইসিস,  আল কায়েদা ইত্যাদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন অন্য ধর্মের মানুষের যত না অত্যাচার করে তার থেকে অনেক বেশী আক্রমণ নামিয়ে আনে সুফি ভাবধারায় বিশ্বাসী মানুষের ওপর ।  উপমহাদেশের অধিকাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষও এই সব কট্টরপন্থীদের ঘৃণা ছাড়া আর কিছু করেন না ।  ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে বিখ্যাত সুফি পীর  লাল শাহবাজ কলন্দরের দরগায় আইসিস'এর  বোমা বিস্ফোরণে ৯০ জনেরও বেশী মানুষ মারা যাওয়ার পর সারা পাকিস্তান জুড়ে যে রকম গণবিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল তা এর প্রমাণ ।  সেই কারণেই এত দিন ধরে সক্রিয় থেকেও তেহরিক-এ-তালিবান (পাকিস্তানি তালিবান)  পাকিস্তান...

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে নিম্নমানের ওষুধ !

মুষ্টিমেয় কয়েকটি  প্রচার মাধ্যমে খুব ছোট  আকারে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ  সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ  'ডিরেক্টোরেট  ওফ ড্রাগ কন্ট্রোল'-এর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে যে রাজ্যের বহু হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকান বা ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন স্টোরের বহু ওষুধ  নির্দিষ্ট  গুণমানের মাপকাঠি পেরোতে পারেনি ।  এর মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো রাজ্যের সেরা ও ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালও আছে । এছাড়াও কার্শিয়াং,  কালিম্পং থেকে শুরু করে বর্ধমান,  ডায়মন্ড হারবার সহ নানা জায়গার হাসপাতাল  ও সরকারী ড্রাগ স্টোর আছে । এই ড্রাগ স্টোরগুলি  থেকেই হাসপাতালের ভিতরে বিনামূল্যে ব্যবহারের ওষুধ সরবরাহ হয় ।  অনেক বড়ো খবরের ভিড়ে এই খবর হারিয়ে গেলেও  জনস্বাস্থের জায়গা থেকে এটি অত্যন্ত চিন্তাজনক ব্যাপার।  ২০১২-র   শেষদিক থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে এই ন্যায্য মূল্যের  দোকানগুলি চালু হতে শুরু করে ।  যে ওষুধগুলি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না ,  সেগুলি যাতে রোগীর আত্মীয়রা  কম খরচে কিনতে পারেন ,...