আজ আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস।
আজকের দিনে বহুক্ষেত্রেই উত্তর-আধুনিক দর্শন এবং তা থেকে উদ্ভুত আইডেন্টিটি পলিটিক্স নারী আন্দোলনের ওপর ব্যপক প্রভাব বিস্তার করেছে।
শ্রেণী সংগ্রাম তথা সর্বহারার বিপ্লবের সঙ্গেই যে নারী মুক্তি সংগ্রাম অঙ্গাঙ্গী ভাবে সম্পৃক্ত তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বুর্জোয়া ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ তথা সুবিধাবাদকে প্রতিষ্ঠা করাই অনেক ক্ষেত্রে নারী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেক তথাকথিত বা স্বঘোষিত বিপ্লবী নারী সংগঠন বা ব্যক্তিও এই বিচ্যুতি থেকে মুক্ত হতে পারেননি।
নারী আন্দোলন মানে হলো নারী এবং পুরুষের দ্বন্দ্ব । এরকম হাস্যকর, ভ্রান্ত, অনৈতিহাসিক চেতনাও অনেকের মধ্যে গেঁড়ে বসেছে।
এই রকম পরিস্থিতিতে কমরেড ক্লারা জেটকিনের জীবন ও শিক্ষাকে গভীরভাবে অনুধাবন করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ।
কমিউনিস্টরা নারী মুক্তি আন্দোলন বলতে যা বোঝেন, তার সঙ্গে তথাকথিত নারীবাদ নামক বিভিন্ন ধারার আন্দোলনের মধ্যে যে শ্রেণীচরিত্রগত পার্থক্য আছে তা উপলব্ধি করতে হবে।
এমনকি 'সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ' বা 'মার্কসবাদী নারীবাদ' নামে যে মতবাদগুলি প্রচলিত আছে সেগুলিও যে আসলে বুর্জোয়া মতবাদ তা বুঝতে হবে।
আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস জিন্দাবাদ ।
নারী মুক্তি আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক ।
'নারীবাদ' নিপাত যাক ।
Darun. Keep going.
ReplyDelete